সরকার ঘোষিত টানা লকডাউনে অসহায় হয়ে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। খেটে খাওয়া এই মানুষের ঘরে ঘরে চরম হায়াকার লক্ষ করা গেছে। ক্ষুদার যাতনা এখন নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক পরিবারে। ধার আর সুদে টাকা নিয়ে সংসার চালাচ্ছে অনেক পরিবার। এহেন পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের মুখের হাস মল্লিন হয়ে পড়েছে। সংসারে চরম অশান্তি বিরাজ করছে। তাদের হ্রদয় বিতারক করুন আর্তনাদ আকাশ বাতাস কম্পিত হলে ও এতটুক মন গলছে না রাজনৈতিক নেতাদের। কোন নেতারা এবার লকডাউনে নগত অর্থ সহায়তা বা খাদ্য সামগ্রী প্রদান করতে দেখা যায় নি। কিছু সামাজিক সংঘঠনকে মাক্স ও খাদ্য সামগ্রী বিতারন করছে।

শহর থেকে শুরু করে গ্রামীন জনপদে বড় বড় ব্যানারে নিজেকে জনদরদি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, গরীব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের নয়নের মনি দাবি করে সাইনবোর্ড দেওয়া এই মানুষ গুলো আজ কোথায় ? এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে । খাদ্য সামগ্রী প্রদানে করে ফোটো- সেশন ও লক্ষ করা যায় নি। লকডাউনে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে ভ্যান চালক, রিকশা চালক, দর্জি শ্রমিক, সেলুন, চায়ের দোকানদার সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তাদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর লগডাউনে সরকার খাদ্য সামগ্রী নগত অর্থ প্রদান করেছেন। কিন্তু এ বছর কিছুই তাদের দেওয়া হয়নি। সমাজের বৃত্তবানদের এদের পাশে গিয়ে দাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।